মহরম কত তারিখে ২০২৪ । মহরম মাসের ফজিলত । আশুরা কি?

প্রিয় পাঠক আরবে মাসের মধ্যে পবিত্র রমজান মাসের পর যে সকল মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মহরম মাস। আমরা অনেকেই মহরম কত তারিখে ২০২৪ ? মহরম মাসের ফজিলত , আশুরা কি? ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চাই।
মহরম কত তারিখে ২০২৪ । মহরম মাসের ফজিলত । আশুরা কি?
আজকে আমরা আপনাদের সামনে মহরম কত তারিখে ২০২৪ ? মহরম মাসের ফজিলত , আশুরা কি? আশুরার দিনের ঘটনা , আশুরার ফজিলত ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই শেষ পর্যন্ত আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।

মহরম কত তারিখে ২০২৪ । মহরম মাসের ফজিলত । আশুরা কি?

আরবি বছরের সর্বপ্রথম মাস হলো মহরম মাস। প্রথম মাস হওয়া হিসেবে এ মাসের আলাদা মর্যাদা রয়েছে। মহররম অর্থ- নিষিদ্ধ বা সম্মানিত । অর্থাৎ এ মাসে ঝগড়া-বিবাদ বা যুদ্ধবিগ্রহ করা শরিয়তে নাজায়েজ বা নিষিদ্ধ। এ জন্যই মহরম মাসকে পবিত্র মাস বলা হয়। হুযূর (সা.) এ মাসে কখনো কাফির-মুশরিকদের সাথে ঝগড়া-কলহে লিপ্ত হতেন না । এমনকি অন্ধকার যুগের কাফিররাও সাধারণত যুদ্ধবিগ্রহ থেকে বিরত থাকতো।

মহরম কত তারিখে ২০২৪

আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২৪ সালের মহরম মাস শুরু হচ্ছে ৭ জুলাই থেকে এবং সে অনুযায়ী ২০২৪ সালের আশুরা অর্থাৎ ১০ই মহরম পালিত হবে আগামী ১৭ জুলাই ২০২৪, রোজ বুধবার অথবা ১৮ জুলাই ২০২৪, রোজ বৃহস্পতিবার। বিঃদ্রঃ এখানে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে, পবিত্র মহরম মাস এবং আশুরা কবে পালিত হবে তা নির্ভর করবে চাঁদ দেখার উপর।

মহরম মাসের ফজিলত

কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের ফজিলত ছাড়াও আরো চারটি অতি সম্মানিত ও ফজিলতপূর্ণ মাস রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সে বরকতপূর্ণ চারটি মাসের নাম তাঁর উম্মতদেরকে পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, চারটি মাসের মধ্যে তিনটি উপর্যুপরি । ঐগুলো হলো, জিলকদ, জিলহজ ও মহরম আর আলাদাটি হলো রজব।

আল্লাহ তাআলা বলেছেন-- এ ফজিলতপূর্ণ মাসসমূহে তোমরা পাপচার করে নিজেদের প্রতি জুলুম করো না। এ কথার মর্মানুযাযী বুঝা যায় যে, আল্লাহ তাআলা অন্যান্য মাস হতে এ মাসগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছেন অধিক। অতএব এ মাসগুলোতে ইবাদত করে অন্যান্য মাসে ইবাদত করার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে।
হযরত ওসমান (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলে করীম (সা.) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর (প্রিয়) মাস মহরমের প্রতি সম্মান দেখাও। যে ব্যক্তি মহরম মাসের প্রতি সম্মান দেখায় আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে সম্মানিত করবেন এবং দোজখ হতে মুক্ত রাখবেন ।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন --- যে ব্যক্তি মহরম চাঁদের প্রথম রাত্রিতে দুই রাকাত করে আট রাকাত নফল নামাজ পাঠ করে এবং প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর দশবার সূরা ইখলাস বা কুল হুওয়াল্লাহু পাঠ করে আল্লাহ তাআলা সারা বৎসর তাকে ধন-দৌলত এবং সন্তানদেরকে সর্ব প্রকার বালা-মসিবত হতে নিরাপদে রাখেন এবং তাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করেন, তার পূর্ব বছরের সমস্ত সগীরা গুনাহ ক্ষমা করে দেন।
হাদীস শরীফে আছে, রজমান মাসের রোজার পরেই মহরম মাসের দশ তারিখের রোজা অন্যান্য সমস্ত রোজার চেয়ে উত্তম ।

মহরমের নফল নামাজের বর্ণনা

বর্ণিত আছে, মহরমের ১লা তারিখ দিনের বেলা যে কোনো সময় দুই রাকআত নফল নামাজ পড়া যায়। এর প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পরে সূরা ইখলাস ৩ বার করে পড়তে হয়। আর নামাজের পরে হাত উঠিয়ে নিম্নের দোয়াটি ৩ বার পড়তে হয় । 

যে ব্যক্তি এ নামাজ পড়বে তার জন্য আল্লাহ তাআলা দুজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেবেন, তাঁরা নামাজি ব্যক্তির কাজে-কর্মে সাহায্য করবে এবং শয়তান যাতে তাকে ধোঁকা দিতে না পারে সেজন্য তাঁরা সাহায্য করবে। দোয়াটি হলো এই -

আল্লাহুম্মা আন্তাল্লাহুল আবাদুল কাদীমু হাযিহী সুন্নাতুন জাদীদাতুন আআলুকা ফীহাল ইসমাতা মিনাশ্ শায়ত্বা-নির রাজীমি ওয়াল্ আমা-না মিনাস সুলত্বানিল জা-বিরি ওয়া মিন কুল্লি যী শাররিওঁ ওয়া মিনাল বালায়ি ওয়াল্ আ-ফা-তি ওয়া আস্আলুকাল্ আওনা ওয়া আলা আলা হা-যিহি নাফসিল আম্মা-রাতি বিয়ি ওয়াল্ ইতিগা-লা বিমা ইয়ুকারিবুনী ইলাইকা ইয়া বাররু ইয়া রাউফু ইয়া রহীমু ইয়া যাল জালালি ওয়াল্ ইকরা-ম।

আশুরা কি?

আশুরা অর্থ ১০ই মহরম। ইসলামের ইতিহাসে এই দিনটি বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। পবিত্র মহরম মাসের এই ১০ই মহরম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। মূলত ঐতিহাসিক এ সকল ঘটনার প্রেক্ষিতেই মুসলমানেরা ১০ই মহরম পবিত্র আশুরা পালন করে থাকে।
এখানে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, অনেকে মনে করে থাকেন আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর শাহাদতের ঘটনায় আশুরা। কিন্তু বাস্তবে হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর শাহাদতের ঘটনার সাথে পবিত্র আশুরার কোন মিল নেই। হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর শাহাদতের বহু আগ থেকেই পবিত্রতম দিন হিসেবে আশুরা পালিত হয়ে আসছে; তাই এই দিনের সাথে তাজিয়া বা এ সংক্রান্ত কোনো বিষয়ের কোন সম্পর্ক নেই।

আশুরার দিনের ঘটনা

মহরমের বৈশিষ্ট্য সমূহের মধ্যে অন্যতম হলো, দুনিয়ার বহু উল্লেখযোগ্য ঘটনা এ মাসে বিশেষ করে ইয়াওমে আশুরা বা আশুরার দিন সংঘটিত হয়েছে ৷ এ জন্যই আশুরার অনেক ফজিলত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এ মাসের ১০ তারিখে অর্থাৎ আশুরার দিনের ঘটনা সমূহঃ
  1. এই দিনে আল্লাহ তাআলা আকাশ, পাহাড়-পর্বত, সমুদ্র, লাওহ্-কলম ইত্যাদি সৃষ্টি করেছেন।
  2. হযরত আদম (আ.)-কে এ দিন সৃষ্টি করেছেন ও বেহেশতে প্রবেশ করিয়েছেন ।
  3. এ দিনই আদম (আ.) এর দোয়া কবুল করে আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করেছেন ।
  4. এ দিন হযরত নূহ (আ.)-এর জাহাজ মহাপ্লাবন থেকে মুক্তি লাভ করে পাহাড়ে এসে লাগে ।
  5. হযরত ইব্রাহীম (আ.) নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে এই দিনে মুক্তি লাভ করেন।
  6. হযরত আইয়ূব (আ.) এ দিন সকল প্রকার রোগ বালাই থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন ।
  7. এ দিনই হযরত ইউনুস (আ.)-এর তওবা কবুল হয়।
  8. হযরত সুলাইমান আ. তার হারিয়ে যাওয়া সাম্রাজ্য আল্লাহর রহমতে ‍ফিরে পান।
  9. হযরত মূসা (আ.)-কে এ দিনই নীলনদ পার করিয়ে তাঁর শত্রু ফেরাউনকে আল্লাহ নীল নদে ডুবিয়েছেন।
  10. হযরত ঈসা (আ.) কে ইহুদীরা হত্যা ষড়যন্ত্র করলে মহান আল্লাহতালা এই দিনেই তাকে জীবিত অবস্থায় আসমানে উঠিয়ে নেন।
  11. হুযূর (সা.)-এর কলিজার টুকরা হযরত হুসাইন (রা.) কারবালা প্রান্তরে ইসলামের জন্য যুদ্ধ করে এ দিনই শাহাদত বরণ করেছেন। সে ঘটনা সর্ব সাধারণের কাছে প্রসিদ্ধ।
  12. এই দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে।

আশুরার ফজিলত

  • হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন --- মহরম মাসে ইবাদতকারী ব্যক্তি যেন কদরের রাত্রির ইবাদতের ফজিলত লাভ করল ।
  • হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন  --- যে ব্যক্তি নিজের জন্য জাহন্নামের আজাবকে হারাম করতে ইচ্ছা করে, সে যেন মহরম মাসে (নফল) রোজা রাখে ।
  • হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন ---  রমজানের রোজার পরে মহরমের ১০ তারিখের রোজা অন্যান্য সমস্ত রোজা হতে উত্তম ।
  • হুযূর (সা.) অন্য হাদীসে ইরশাদ করেছেন  ---  আমি আল্লাহ তাআলার নিকট এ আশা রাখি যে, আশুরার রোজা তার পূর্ববর্তী বছরের সমস্ত (সগীরা) গুনাহের কাফ্ফারা স্বরূপ হবে ।
  • হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূলে খোদা (সা.) বলেছেন  --- আশুরার দিনে হযরত আদম (আ.)-এর ওপর এবং অন্যান্য নবীদের উম্মতের ওপর রোজা রাখা ফরজ ছিল। এ দিনে দুই হাজার নবী জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং দুই হাজার নবীর দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছিল ।
  • হুজুর (সা.) ফরমান  --- আশুরার তারিখে নিজ পরিবারের খাওয়ার বাবত অন্য সময়ের তুলনায় যে ব্যক্তি অধিক অর্থ ব্যয় করবে, আল্লাহ তাআলা সারা বছরই তাকে অধিক পরিমাণে রিজিক দান করবেন ।
  • হুযূর (সা.) বলেছেন --- রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পূর্বে আশুরার রোজা রাখা ফরজ ছিল। পরে রমজান মাসে রোজা ফরজ হয়। পরে কেউ কেউ (নফল রোজা হিসাবে) আশুরার রোজা রাখল, আবার কেউ কেউ রাখল না ।
  • হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন  ---  যে ব্যক্তি আশুরার রোজা রাখে সে ষাট বছর দিনে রোজা রাখার এবং রাত্রিতে ইবাদত করার সওয়াব পাবে।
  • অপর একটি হাদীসে আছে, কোনো এক সময় আশুরার তারিখে হুযূর (সা.) রোজা রাখলেন এবং সাহাবীগণকেও রোজা রাখতে হুকুম দিলেন। তখন সাহাবীগণ আরজ করলেন, হে রাসূল (সা.) ! এটাতো ইহুদি ও নাসারাগণের ধারণায় সম্মানিত দিবস, আমরাও কি তাদের অনুসরণ করব ? হুযূর (সা.) বলেন, যদি বেঁচে থাকি তবে আমি আগামী বছর আশুরার পূর্বের দিনটিও (অর্থৎ ৯ই মহররম) রোজা রাখব । তাহলে আর তাদের অনুসরণ করা হবে না ।
  • হযূর (সা.)-এর জমানায় মদীনা শরীফে একবার বেলা প্রহরখানিক অতীত হওয়ার পর, সে দিনটি মহররম মাসের ১০ই তারিখ ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেলে তিনি মদীনা শরীফে মুসলমানদের মধ্যে ঘোষণা করে দিলেন যে, আজই আশুরার দিন ; অতএব এ দিনের সম্মানার্থে এখন হতে সূর্য ডুবা পর্যন্ত আমাদের খাওয়া-দাওয়া হতে বিরত থাকতে হবে ।
  • রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন --- কোনো মুমিন লোক যদি বিশ্ব পরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহর রাহে খরচ করে, তথাপি সে ব্যক্তি আশুরার দিন ইবাদত করার সমান সওয়াব পাবে না । যে ব্যক্তি এ দিনে রোজা রাখবে, তার জন্য বেহেশতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হবে, তার যে কোনো দরজা দিয়ে সে ব্যক্তি বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে।
  • রাসূলে (সা.) মক্কা শরীফ হতে মদীনা শরীফে হিজরত করে দেখতে পেলেন, তথাকার ইহুদিগণ আশুরার দিনে রোজা রাখে। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, এ দিনে তোমরা রোজা রাখো কেন ? তারা উত্তর করল, এটা মহান দিন । এ দিনে আল্লাহ তাআলা হযরত মূসা (আ.) এবং তাঁর উম্মতদেরকে ফেরাউন ও তার দলবলের কবল হতে মুক্তি দেন এবং ফেরাউন ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদেরকে নীল নদে ডুবিয়ে ধ্বংস করেন। 
  • তৎপর মূসা (আ.) আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার মানসে এ দিনে রোজা রাখেন। তাঁরই স্মৃতি রক্ষার্থে আমরা এ দিনে রোজা পালন করে থাকি । রাসূলে করীম (সা.) তখন বললেন, আমরা তোমাদের অপেক্ষা মূসা (আ.)-এর অধিকতর ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর নীতি অনুসরণ করার দাবিও তোমাদের চেয়ে বেশি । অতঃপর হুযূর (সা.) এ দিনে নিজে রোজা রাখলেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকে রোজা রাখার হুকুম দিলেন ।
  • প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা. বলেছেন ---  তোমরা আশুরার রোজা রেখো, কিন্তু তাতে ইহুদিদের বিরোধিতা করো । আর তা এভাবে যে, আশুরার সাথে তার পরের অথবা পূর্বের দিনেও রোজা রেখো ।
  • হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, কোনো এক সময় রাসূলুল্লাহ (সা.) আশুরার দিবসে রোজা রেখেছিলেন এবং তিনি অন্যান্য সাহাবীগণকেও রোজা রাখতে বললেন । অতঃপর সাহাবীগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! এই দিবসে ইহুদিগণ রোজা রেখে থাকে, তবে কি আমরা তাদের অনুকরণ করব? তা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করলেন, আমি জীবিত থাকলে আগামী বছর আশুরার পূর্বের দিনও রোজা রাখব ।
  • রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন ---  যে ব্যক্তি আশুরার দিবসে নিজ পরিবারবর্গের খাওয়া পরার জন্য বেশি অর্থ খরচ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে সেই বছরের রিজিক ও রুজিতে ততোধিক বরকত দান করবেন।

আশুরার নফল নামাজের বর্ণনা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি মহরম মাসের প্রথম রাতে দুই রাকাত করে মোট আট রাকআত নামাজ আদায় করবে এবং তার প্রত্যেক রাকআতের সূরা ফাতিহার পর ১০ বার করে সূরা ইখলাস পাঠ করবে ; আল্লাহ তাআলা তার মাল-আসবাব ও সন্তান-সন্ততিদেরকে সমস্ত বৎসর হেফাজত করবেন এবং নিজের সন্তুষ্টির দিকে ধাবিত করবেন। আর নামাজি ব্যক্তির পূর্বের এক বৎসরের গুনাহ্ ক্ষমা করে দেবেন।
আর এক বর্ণনায় আছে যে, মহরম মাসের প্রথম রাত্রিতে যদি কোনো ব্যক্তি আট রাকআত নামাজ এরূপে আদায় করে যে, তার প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পরে ১০ বার করে সূরা ইখলাস পাঠ করবে এবং দুই রাকাতের নিয়তে নামাজ পড়বে । যদি নামাজি ব্যক্তি ও তার পরিবার পরিজন শিরক বিদআতে শরিক না হয়ে থাকে, তবে তাকে ও তার পরিবারবর্গের জন্য রোজ কিয়ামতে হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) অবশ্যই শাফায়াত করবেন।

মহরম কত তারিখে ২০২৪ । মহরম মাসের ফজিলত । আশুরা কি? : লেখক এর মতামত

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের সামনে মহরম কত তারিখে ২০২৪ ? মহরম মাসের ফজিলত , আশুরা কি? আশুরার দিনের ঘটনা , আশুরার ফজিলত , মহরমের নফল নামাজ , আশুরার নফল নামাজ ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।

এ সংক্রান্ত আপনাদের যেকোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং গুগল নিউজে আমাদের পেজটিতে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

ইসলামিক ইনফো বাংলা

আমাদের ফেসবুক পেইজ