দরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ । দরুদ ইব্রাহিম । সবগুলো দরুদ শরীফ বাংলা
প্রিয় পাঠক আমরা অনেকেই দরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ , দরুদ ইব্রাহিম , সবগুলো দরুদ
শরীফ বাংলা সম্পর্কে জানতে চাই। তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে দরুদ শরীফ বাংলা
উচ্চারণ , দরুদ ইব্রাহিম , সবগুলো দরুদ শরীফ বাংলায় নিয়ে হাজির হয়েছি।
আমাদের আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে দরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ , দরুদ
ইব্রাহিম , সবগুলো দরুদ শরীফ বাংলা , ছোট দরুদ শরীফ , ছোট ও সহজ দরুদ শরীফ , সকল
বিপদ মুসিবত থেকে মুক্তির দোয়া দরুদ এবং সবচেয়ে উত্তম দরুদ শরীফ সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পারবেন।
দরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ । দরুদ ইব্রাহিম । সবগুলো দরুদ শরীফ বাংলা
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদের সূরা আহযাবের ৫৬নং আয়াতে ইরশাদ করেছেন- ইন্নাল্লাহা
ওয়া মালা-য়িকাতাহু ইউসাল্লুনা ‘আলান্নাবিয়্যি; ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ
সাল্লূ ‘আলায়হি ওয়া সাল্লিমূ তাসলীমা ।
অর্থ: নিশ্চয়ই
আল্লাহ্ তাআলা
ও তাঁর ফেরেশ্তাগণ রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ করে থাকেন। হে
বিশ্বাসীগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরুদ ও সালাম প্রেরণ করো ।
দরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ । দরুদ ইব্রাহিম
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া 'আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা
আলা ইব্রাহীমা ওয়া 'আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক
আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া 'আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা 'আলা ইব্রাহহীমা ওয়া
'আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ ।
অর্থ : হে আল্লাহ্!
মুহাম্মদ (সা.)
ও তাঁর বংশধরগণের প্রতি অনুগ্রহ ও মহাশান্তি বর্ষণ করো, যেরূপ
হযরত ইব্রাহীম (আ.)
ও তাঁর বংশধরগণের প্রতি অনুগ্রহ করেছ। নিশ্চয় তুমি প্রশংসা ও সম্মানের অধিকারী।
হে আল্লাহ তা'আলা! মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর বংশদরগণের প্রতি বরকত দান করো, যেরূপ
হযরত ইব্রাহীম (আ.) ও তাঁর বংশধরগণের প্রতি বরকত দান করেছ। নিশ্চয়! তুমি প্রশংসা
ও সম্মানের অধিকারী বা যোগ্য ।
সবগুলো দরুদ শরীফ বাংলা
দরুদ ইব্রাহিম
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া 'আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা
আলা ইব্রাহীমা ওয়া 'আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক
আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া 'আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা 'আলা ইব্রাহহীমা ওয়া
'আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ ।
দরুদে তুনাজ্জিনা
আল্লা-হুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন্ ওয়া 'আলা আ-লি সায়্যিদিনা
মুহাম্মাদিন্ সালাতান্ তুনাজ্জীনা রিহা মিন্ জামী‘ইল্ আহ্ওয়া-লি ওয়াল্ আফা-তি
ওয়া তাক্বদ্বীলানা বিহা জামী‘আল্ হাজাতি ওয়া তুত্বাহিরুনা বিহা মিন জামী‘ইস্
সাইয়্যিয়াতি ওয়া তারফা'উনা বিহা ‘ইন্দাকা আ'লাদ্দারাজাতি ওয়া তুবাল্লিগুনা
বিহা আকসাল গা-য়াতি মিন জামী ইল খাইরাতি ফিল হায়া-তি ওয়া বা'দাল মামা-তি
ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর ; বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।
ফজিলত : এ দরুদ শরীফ বেশি বেশি পাঠ করলে কঠিন বালা-মসিবত হতে মুক্তি
পাওয়া যায়। বিপদমুক্তির জন্য এ দরুদ শরীফের ফজিলত ও ক্ষমতা সর্বজনসম্মত । এরূপ
ফজিলত লাভ করেছে বলেই এ দরুদ শরীফের নাম হয়েছে দরুদে তুনাজ্জিনা, অর্থাৎ বিপদ
মুক্তির দরুদ। এটা একদিকে দরুদ শরীফ, অন্যদিকে মুনাজাত । ফজর ও
মাগরিবের
পর এ দরুদ পাঠ করতে হয়।
দরুদে শিফা
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বিআদাদি কুল্লি দা-য়িওঁ ওয়া
দাওয়া-য়িওঁ ওয়া বিআদাদি কুল্লি ‘ইল্লাতিওঁ ওয়া শিফায়িন ।
আরো পড়ুন: উকিল/অ্যাডভোকেট/ব্যারিস্টার হতে কি করবেন ? । হ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম । বাংলাদেশের ৬৬ তম জেলার নাম কি ?
ফজিলত : যদি কোনো অঞ্চলে মহামারী আকারে কোনো রোগ দেখা দেয়, তাহলে ফজর ও
মাগরিব নামাজের পরে এ দরুদ শরীফ তিনবার পাঠ করলে আল্লাহর অশেষ রহমতে উক্ত মহামারী
রোগ হতে রক্ষা পাওয়া যাবে। সবসময় নিয়মিতভাবে এ দরুদ শরীফ পড়লে মৃত্যুর সময়
ব্যতীত অন্য কোনো সময় রোগে আক্রান্ত হবে না। এ দরুদ শরীফের অত্যন্ত ফজিলত এ দরুদ
দ্বারা হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ যাবতীয় রোগব্যাধি হতে আরোগ্যের
জন্য দোয়া করেছেন।
দরুদে হাজারী
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিম্ মা-দা-মাতিস্ সালা-তু ওয়া সাল্লি আলা
মুহাম্মদিম মা-দা-মাতির রাহমাতু ওয়া সাল্লি আলা মুহাম্মাদিম মা-দা-মাতিল
বারাকা-তু ওয়া সাল্লি ‘আলা-রূহি মুহাম্মাদিন ফিল আরওয়া-হি ওয়া সাল্লি আলা
সূরাতি মুহাম্মাদিন্ ফিস্ সুওয়ারি ওয়া সাল্লি আলা ইসমি মুহাম্মাদিন ফিল্
আসমা-য়ি ওয়া সাল্লি আলা-নাফসি মুহাম্মাদিন ফিন নুযূসি ওয়া সাল্লি 'আলা কালবি
মুহাম্মাদিন্ ফিল কুলূবি ওয়া সাল্লি আলা ক্বাবরি মুহাম্মাদিন্ ফিল্ কুবূরি ওয়া
সাল্লি ‘আলা রাওদ্বাতি মুহাম্মাদিন ফিররিয়া-দ্বি ওয়া সাল্লি ‘আলা জাসাদি
মুহাম্মাদিন্ ফিল্ আজসা-দি ওয়া সাল্লি 'আলা তারবাতি মুহাম্মাদিন্ ফিত্ তুরা-বি
ওয়া সাল্লাল্লাহু 'আলা খাইরি খালক্বিহী সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিওঁ ওয়াআলা
আ-লিহী ওয়া আসহা-বিহী ওয়া আওয়াজিহী ওয়া যুররিয়্যা-তিহী ওয়া আলি বাইতিহী
ওয়া আহবা-বিহী আজমা‘ঈন্। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রা-হিমীন্ ।
ফজিলত : বর্ণিত আছে যে, যদি এ দরুদ শরীফ কোনো গুনাহগার ব্যক্তির
কবরের পাশে
দাঁড়িয়ে তিন বার পাঠ করা যায়, তাহলে আল্লাহ তা'আলা উক্ত কবরবাসীর গুনাহ মাফ
করে দেবেন। আর কোনো ব্যক্তি তার পিতা-মাতার মাগফিরাতের জন্য এ দরুদ শরীফ একুশবার
পাঠ করে আল্লাহর শাহী দরবারে প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা'আলা তাদের গুনাহ
মাফ করে দেবেন।
দরুদে নারিয়া
আল্লাহুম্মা সাল্লি সালাতান কা-মিলাতান ওয়া সাল্লিম সালামান তাম্মান 'আলা
সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিল্লাযী তানহাল্লু বিহিল ‘উকাদু ওয়া তানফারিজু বিহিল
কুরাবু ওয়া তুকদ্বা বিহিল হাওয়া-য়িজু ওয়া তুনা-লু বিহির রাগা-য়িবু ওয়া
হুসনুল খাওয়া-তীমি ওয়া ইয়ুসতাসকাল গামা-মু বিওয়াজ হিহিল কারী-ম্, ওয়া
'আলা-আ-লিহী ওয়া আসহাবিহী ফী-কুল্লি লামহাতিওঁ ওয়া নাফাসিম বি‘আদাদি কুল্লি
মা'লু-মিল্লাক ।
ফজিলত : এ দরুদ শরীফ খুবই বরকতময় ও উপকারী দোয়া। নিয়মিতভাবে ফজর ও আসর
নামাজের পর এগারোবার পাঠ করলে আল্লাহ তা'আলা উক্ত পাঠকারীর ওপর সকল ধরনের কল্যাণ
ও মঙ্গল বর্ষণ করে দেন।
দরুদে যিয়ারত
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া
আলিহী ওয়া সাল্লিম ।
ফজিলত : বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি
জুমার রাত্রিতে
প্রতি রাকাতে
সূরা ফাতিহার পর একবার আয়াতুল কুরসী ও পনেরো বার সূরা ইখলাস পড়ে দুই রাকআত
নফল নামাজ
পড়ে এই দরুদ শরীফ এক হাজার বার পাঠ করবে, আল্লাহর রহমতে রাত্রিতে নিদ্রাবস্থায়
আমাকে স্বপ্নে দেখতে পাবে। যদি ঐ রাত্রিতে দেখতে না পায় তবে পরবর্তীতে
শুক্রবারের আগেই
দেখতে পাবে এবং তার সমস্ত গুনাহ আল্লাহ মাফ করবেন ।
আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোবাইল নাম্বার । রাজশাহী টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী । রেডমি মোবাইল প্রাইস - 2024
দরুদে খায়ের
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া নাবিয়্যিনা ওয়া শাফী‘ইনা ওয়া
মাওলানা মুহাম্মাদিন্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া 'আলা আ-লিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়া
আযওয়াজিহী ওয়া বা-রিক্ ওয়া সাল্লিম্ ।
দরুদে তাজ
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সায়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন সাহিবিত তাজি ওয়াল
মি'রাজি, ওয়াল বুরাক্কি ওয়াল আলাম । দাফিইল বালায়ি ওয়াল ওয়াবায়ি ওয়াল
কাহতি ওয়াল মারাদ্বি ওয়াল আলাম । ইসমুহু মাকতূবুন মারফূ'উন মাশফূ'উন মানকূশুন
ফিল লাওহি ওয়াল কালাম । সাইয়্যিদিল 'আরাবি ওয়াল 'আজাম । জিসমুহু মুকাদ্দাসুন
মু'আত্তারুন মুতাহ্হারুন মুনাউওয়ারুন ফিল বাইতি ওয়াল হারাম । শামসিদ্দুহা
বাদরিদ্দুজা সাদরিল উলা নূরিল হুদা কাহফিল ওয়ারা মিসবাহিয যুলাম, জামীলিশ
শিয়াম, শাফী'ইল উমাম, সাহিবিল যূদি ওয়াল কারাম। ওয়াল্লাহু 'আসিমুহু ওয়া
জিবরাঈলু খাদিমুহু ওয়াল বুরাকু মারকাবুহু ওয়াল মি'রাজু সাফারাহু ওয়া সিদরাতুল
মুনতাহা মাকামুহু, ওয়া কাবা কাউসাইনি মাত্বলূবুহু, ওয়াল মাতলূবু মাকসূদুহু
ওয়াল মাকসূদু মাউজ়দুহু। সাইয়্যিদিল মুরসালীন, খাতিমিন নাবিয়্যীন, শাফী‘ইল
মুযনাবীন, আনীসিল গারীবীন, রাহমাতিল লিল 'আলামীন, রাহাতিল 'আশিকীন, মুরাদিল
মুশতাকীন, শামসিল ‘আরিফীন, সিরাজিস সালিকীন, মিসবাহিল মুকাররাবীন, মুহিববিল
ফুকারায়ি ওয়াল মাসাকীন, সাইয়্যিদিছ ছাকালাইন, নাবিইল হারামাইন, ইমামিল
ক্বিবলাতাইন, ওয়াসীলাতিনা ফিদ্দারাইন, সাহিবি ক্বাবা কাউসাইনি, মাহবূবি রাব্বিল
মাশরিকাইনি ওয়াল মাগরিবাইন, জাদ্দিল হাসানি ওয়াল হুসাইন, মাওলানা ওয়া মাওলাছ
ছাকালাইন আবিল কাসিমি মুহাম্মাদিবনি আবদিল্লাহ নূরিম মিন নূরিল্লাহ, ইয়া
আইয়্যুহাল মুশতাকূনা বিনূরি জামালিহী, সাল্লু 'আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লিমূ
তাসলীমা ।
ফজিলত : এ দরুদ শরীফের মহত্ত্ব ও মর্যাদা অত্যধিক বেশি। এ দরুদ
নিয়মিতভাবে চল্লিশ দিন যাবৎ প্রত্যহ
এশার নামাজের
পর একচল্লিশ বার করে পড়লে সে যে কোনো অত্যাচারীর অত্যাচার থেকে নিরাপদে থাকবে।
আর যদি কোনো লোক জুমার রাত্রিতে এশার নামাজান্তে একশত বার পাঠ করে পাক বিছানায়
শুয়ে পড়ে তবে সে স্বপ্নযোগে হুযূর (সা.)-কে দেখার সৌভাগ্য লাভ করবে।
দরুদে আকবর
আস্সালা-তু ওয়াস্সালামু 'আলাইকা ইয়া রাসূ-লাল্লা-হি, মাস্সালা-তু ওয়াস্সালামু
'আলাইকা ইয়া নাবিয়্যিাল্লা-হি, আস্সালা-তু ওয়াস্সালামু 'আলাইকা ইয়া
সাফিয়্যাল্লা-হি, আস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু আলাইকা ইয়া হাবী-বাল্লা-হি,
আস্সালা-তু ওয়াস্সালামু 'আলাইকা ইয়া গাজীয়্যাল্লা-হি, আস্সালা-তু ওয়াস্সালামু
'আলাইকা ইয়া খালী-লাল্লা-হি, মাস্সালা-তু ওয়াস্সালামু 'আলাইকা ইয়া খাইরা
খালকিল্লা-হি, আস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু 'আলাইকা ইয়া নূ-রা আরশিল্লাহ্,
আস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু আলাইকা ইয়া মানিখতা-রাল্লা-হু, আস্সালা-তু
ওয়াস্সালামু 'আলাইকা ইয়া আউয়্যালা খালকিল্লাহ-হি, আস্সালা-তু ওয়াস্সালামু
'আলাইকা ইয়া আসানা থাকিল্লা-হি, আস্সালা-তু ওয়াসসালা-মু 'আলাইকা ইয়া মান বিহী
হাদা-নাল্লা-হু, আস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু 'আলাইকা ইয়া রাহমাতাম্ মিনাল্লা-হি,
আস্সালা-তু ওয়াস্সালামু 'আলাইকা ইয়া শাফী-‘আনা ‘ইনদাল্লা-হি, আস্সালা-তু
ওয়াসালামু 'আলাইকা ইয়া খা-তামা রাসূলিল্লা-হি, আস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু
'আলাইকা ইয়া খিয়ারা খালকিল্লা-হি, আস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু 'আলাইকা ইয়া
ওয়ালিয়্যাল্লা-হি, আস্সালা-তু ওয়াস্সালামু 'আলাইকা ইয়া সায়াতাল্লা-হি,
আস্সালা-তু ওয়াস্সালামু 'আলাইকা ইয়া মান শারাফাহুল্লা-হু, আস্সালা-তু
ওয়াস্সালামু 'আলাইকা ইয়া হুজ্জাতাল্লা-হি, আস্সালা-তু ওয়াস্সালামু 'আলাইকা
ইয়া মান আরসালাহুল্লা-হু, আস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু 'আলাইকা ইয়া মান
কাররামাল্লা-হু, আস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু 'আলাইকা ইয়া মান ‘আয্যামাহুল্লা-হু,
আস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু 'আলাইকা ইয়া নূ-রা 'আরশিল্লা-হি ।
ফজিলত : যদি সদা-সর্বদা এ দরুদ পাঠ করা যায় তবে পাঠকারীর জন্য দোজখের
আগুন চিরতরে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। আর কোনো লোক যদি নিয়মিতভাবে এ দরুদ পাঠ করে, সে
স্বপ্নযোগে রাসূল (সা.)-কে দেখার সৌভাগ্য লাভ করবে। আর কোনো ব্যক্তি যদি রোজ
একবার করে এ দরুদ পাঠ করে তবে আল্লাহ তা'আলা তার প্রতি তিনশত ষাট বার রহমতের
দৃষ্টিতে নজর করে থাকেন ।
দরুদে ফুতুহাত
বিসমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম 'আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিওঁ
ওয়া 'আলা আ-লিহী বিআ'দাদি আওয়া-‘ইর রিকি ওয়ালফুতূ-হাত্। ইয়া-বাসিতুল্লাযী
ইয়াবসুতুর রিকা লিমাই ইয়াশা-য়ু বিগাইরি হিসা-ব । উবসুত 'আলাইনা রিষ্কাওঁ
ওয়া-সি'আম্ মিন্ কুল্লি জিহাতিম্ মিন খাযায়িনি গাইবিকা বিগাইরি মান্নাতিম
মাখলূ-কিম্ বিমাদ্বি ফাদ্বলিকা ওয়া কারামিক বিগাইরি হিসাব।
ফজিলত : এ দরুদ শরীফ নিয়মিতভাবে পড়লে সাংসারিক জীবনে উন্নতি লাভ করা
যায়। এ জন্যই এ দরুদ শরীফকে ‘দরুদে ফুতুহাত' অর্থাৎ ‘উন্নতি করার দরুদ'
বলে।নিয়মিত এ দরুদ সাতদিন যাবৎ প্রত্যহ একুশবার করে পড়লে পাঠকারীর যে কোনো কঠিন
রোগ হোকনা কেন তা থেকে আরোগ্য লাভ করবে। আর এ দরুদ সর্বদা পাঠ করলে পাঠকারী সকল
প্রকার সুখ-শান্তি ও কল্যাণ লাভ করবে, কোনো ধরনের অভাব তার মাঝে পরিলক্ষিত হবে না
।
ছোট দরুদ শরীফ । ছোট ও সহজ দরুদ শরীফ
দরুদে শিফা
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বিআদাদি কুল্লি দা-য়িওঁ ওয়া
দাওয়া-য়িওঁ ওয়া বিআদাদি কুল্লি ‘ইল্লাতিওঁ ওয়া শিফায়িন ।
দরুদে যিয়ারত
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া
আলিহী ওয়া সাল্লিম ।
দরুদে খায়ের
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া নাবিয়্যিনা ওয়া শাফী‘ইনা ওয়া
মাওলানা মুহাম্মাদিন্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া 'আলা আ-লিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়া
আযওয়াজিহী ওয়া বা-রিক্ ওয়া সাল্লিম্ ।
আরো পড়ুনঃ রাগের মাথায় তালাক দিলে কি হয় ?
। রাজশাহী টু ঢাকা ট্রেনের সিডিউল ।সাপোজিটরি ব্যবহারের নিয়ম
সকল বিপদ মুসিবত থেকে মুক্তির দোয়া দরুদ
আল্লা-হুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন্ ওয়া 'আলা আ-লি সায়্যিদিনা
মুহাম্মাদিন্ সালাতান্ তুনাজ্জীনা রিহা মিন্ জামী‘ইল্ আহ্ওয়া-লি ওয়াল্ আফা-তি
ওয়া তাক্বদ্বীলানা বিহা জামী‘আল্ হাজাতি ওয়া তুত্বাহিরুনা বিহা মিন জামী‘ইস্
সাইয়্যিয়াতি ওয়া তারফা'উনা বিহা ‘ইন্দাকা আ'লাদ্দারাজাতি ওয়া তুবাল্লিগুনা
বিহা আকসাল গা-য়াতি মিন জামী ইল খাইরাতি ফিল হায়া-তি ওয়া বা'দাল মামা-তি
ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর ; বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।
সবচেয়ে উত্তম দরুদ শরীফ
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া 'আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা
আলা ইব্রাহীমা ওয়া 'আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক
আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া 'আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা 'আলা ইব্রাহহীমা ওয়া
'আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ ।
দরুদ শরীফের ফজিলত ও গুরুত্ব
কুরআন মাজীদে, হাদীস শরীফে দরুদ শরীফের অনেক ফজিলত বর্ণিত আছে। রাসূলুল্লাহ (সা.)
ইরশাদ করেছেন – অধিক সংখ্যায় দরুদ শরীফ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন সে আমার অধিক
নিকটবর্তী হবে।
হযরত ওমর
(রা.) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন – যে আমার নামের সাথে দরুদ পাঠ করে
না, সে অবশ্যই কৃপণ ।
অন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে, একদিন হুযূর (সা.)-এর চেহারা অত্যন্ত উজ্জ্বল দেখে
সাহাবীগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! আজ আপনার চেহারা এত উজ্জ্বল
দেখাচ্ছে কেন? উত্তরে হুযূর (সা.) বললেন, এইমাত্র জিব্রাঈল (আ.) এই বলে বিদায়
নিলেন যে, আপনার উম্মতের মধ্যে যে একবার দরুদ শরীফ পাঠ করবে আল্লাহ তা'আলা তার
আমল নামায় দশটি নেকী লেখে দেবেন, আর দশটি গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন এবং দশটি মর্তবা
দান করবেন ।
দরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ । দরুদ ইব্রাহিম । সবগুলো দরুদ শরীফ বাংলা : লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক আমরা এতক্ষণ আপনাদের সামনে দরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ , দরুদ ইব্রাহিম
, সবগুলো দরুদ শরীফ বাংলা , ছোট দরুদ শরীফ , ছোট ও সহজ দরুদ শরীফ , সকল বিপদ
মুসিবত থেকে মুক্তির দোয়া দরুদ এবং সবচেয়ে উত্তম দরুদ শরীফ সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করলাম।
এ সংক্রান্ত আপনাদের যেকোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট
করে জানাতে পারেন। এরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি
ভিজিট করুন এবং গুগল নিউজে আমাদের পেজটিতে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।।