আওয়াবিন নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত । তওবার নামাজ
প্রিয় পাঠক আওয়াবিন নামাজ এবং তওবার নামাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। আমরা
বিভিন্ন সময় এই নামাজ আদায় করে থাকি । সেজন্য আমাদের সকলেরই আওয়াবিন নামাজ পড়ার
নিয়ম ও নিয়ত এবং তওবার নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা উচিত।
আমাদের আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি আওয়াবিন নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত ,
আওয়াবিন নামাজ কত রাকাত , আওয়াবিন নামাজ সুন্নত না নফল , তওবার নামাজ , তওবার
নামাজ নিয়ত , তাওবার নামাজ পড়ার নিয়ম , তওবার নামাজ সুন্নত নাকি নফল সে
সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে পারবেন।
আওয়াবিন নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত । তওবার নামাজ
আওয়াবিন নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত । আওয়াবিন নামাজ কত রাকাত
আওয়াবিন নামাজের ওয়াক্ত
মাগরিব নামাজের পর এশার নামাজ
পর্যন্ত । এ নামাজ সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা। আওয়াবিন নামাজ মোট ছয় রাকাত ।
তিন সালামে ছয় রাকাত
নামাজ আদায় করতে হয়। অনেকের মতে এ নামাজ নফল । অতএব নফল ও সুন্নতে গায়রে
মুয়াক্কাদা নিয়ে মতভেদ আছে। আওয়াবিন নামাজের ফজিলত অনেক।
এ নামাজ যে ব্যক্তি রীতিমতো আদায় করে, মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী তার
অনুগত
থাকে। আওয়াবিন নামাজ পড়ার নিয়তঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিইয়া লিল্লাহি তা'আলা
রাক'আতাই সালাতিল আওয়াবীনি সুন্নাতি রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা
জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার ।
অর্থ : আমি
আল্লাহ তা'আলার
জন্য কেবলামুখি হয়ে আওয়াবীনের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার নিয়ত করলাম,
আল্লাহু আকবার ।
আরো পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ ও ইশরাকের নামাজ । আইপিএস ও আইপিএস ব্যটারির দাম ।ছেলেদের আধুনিক ইসলামিক নাম । ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হয় না
এ নামাজ শেষ করে
নিম্নের দোয়া পড়তে হয়ঃ আল্লাহুম্মা ইয়া মুকাললিবাল কুলূবি ছাব্বিত কালবী 'আলা দীনিক । অর্থ
: হে আল্লাহ ! তুমি মানুষের অন্তরের পরিচালক। আমার অন্তরকে দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত
করো ।
আওয়াবিন নামাজ সুন্নত না নফল
আওয়াবিন নামাজ সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা। তবে অনেকের মতে এ নামাজ
নফল । অতএব আওয়াবিন নামাজ সুন্নত না নফল তা নিয়ে মতভেদ আছে।
আরো পড়ুন: উকিল/অ্যাডভোকেট/ব্যারিস্টার হতে কি করবেন ? । হ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম । বাংলাদেশের ৬৬ তম জেলার নাম কি ?
তওবার নামাজ
কোনো গুনাহের কাজ সংঘটিত হওয়ার পর অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে আল্লাহ তা'আলার শাহী
দরবারে মাফ চাওয়াকে তওবা বলা হয় । গুনাহ যত বড় মাপেরই হোকনা কেন বা যত অধিক
হোকনা কেন খালেস অন্তরে তওবা করলে আল্লাহ তা'আলা তওবাকারীকে ক্ষমা করে দেবেন। এক
বর্ণনায় আছে,
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) দৈনিক ৭০ বার, অন্য এক বর্ণনায় আছে ১০০ বার তওবা করতেন।
আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাকে কুরআন মাজীদের বিভিন্ন স্থানে তওবা করার জন্য
নির্দেশ দিয়েছেন। বান্দার হক ব্যতীত এমন কোনো গুনাহ নেই, যা তওবা দ্বারা আল্লাহ
তা'আলা মাফ করে দেবেন না । তওবা বা ইস্তিগফার আমাদের জন্য মিরাস স্বরূপ হযরত আদম
(আ.) হতে পাওয়া গেছে। আমাদেরও সব সময় তওবা করা উচিত।
তওবার নামাজ নিয়ত
নাওয়াইতু আন উসাল্লিইয়া লিল্লাহি তা'আলা রাক'আতাই সালাতিত তাওবাতি
মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার ।
অর্থঃ আমি আল্লাহ তা'আলার জন্য কেবলামুখি হয়ে তওবার দুই রাকাত সুন্নত
নামাজ আদায়
করার নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার ।
আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোবাইল নাম্বার । রাজশাহী টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী । রেডমি মোবাইল প্রাইস - 2024
তওবার নামাজ সুন্নত নাকি নফল
তওবার নামাজ সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা। তবে অনেকের মতে এ নামাজ নফল । অতএব
আওয়াবিন নামাজ সুন্নত না নফল তা নিয়ে মতভেদ আছে।
তাওবার নামাজ পড়ার নিয়ম
আবু দাউদ শরীফ এর বর্ননা অনুযায়ী,
আবু বকর (রা.)বলেন: রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, কেউ যদি কখনো কোন গুনাহ করে ফেলে, অতঃপর
উত্তমরূপে
ওযূ করে
দুই রাকাত
সালাত আদায়
করে তার পাপের জন্য তাওবাহ করে তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। অতঃপর তিনি এ
আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ
“তারা- যখন কোন অশ্লীল কাজ করে বসে কিংবা নিজেদের উপর নিজেরা যুলুম করে ফেলে
তারপর তারা
আল্লাহকে স্মরণ করে
এবং নিজেদের গুনাহের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কে আছে যে
তাদের গুনাহ মাফ করে দিতে পারে? এরা জেনে বুঝে কখনো নিজেদের গুনাহের ওপর অটল থাকে
না।” (সূরা আলে-ইমরান ১৩৫)
এই সালাতের প্রথম রাকাতে সূরা কাফিরূন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ইখলাস পড়া উচিত।
অতঃপর খালেস দিলে আল্লাহর কাছে তাওবাহ করবেন। ঐ পাপা কাজ আর করবেন না বলে
প্রতিজ্ঞা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন।
তওবা দ্বারা মানুষের গুনাহসমূহ ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার হয়ে যায়। এ সম্পর্কে
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- আত্তায়িবু মিনায্যামঁবি কামান লা যামবা লাহূ)
অর্থাৎ (খালেস নিয়তে) তওবাকারী ঐ ব্যক্তির সাদৃশ্য যার কোনো গুনাহ নেই ।
আরো পড়ুনঃ ম দিয়ে ছেলেদের নাম । স্মার্ট সিভি তৈরির নিয়ম । গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম । ইবরাহীম আ. এর কুরবানীর ইতিহাস
অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- মাতৃগর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ শিশু যেমন
সম্পূর্ণ নিষ্পাপ থাকে, মানুষ খালেস অন্তরে তওবা করলেও ঠিক তদ্রূপ নিষ্পাপ হয়ে
যায় ।
আওয়াবিন নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত । তওবার নামাজ : লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের সামনে আওয়াবিন নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত , আওয়াবিন
নামাজ কত রাকাত , আওয়াবিন নামাজ সুন্নত না নফল , তওবার নামাজ , তওবার নামাজ নিয়ত
, তাওবার নামাজ পড়ার নিয়ম , তওবার নামাজ সুন্নত নাকি নফল সে সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করলাম।
এ সংক্রান্ত আপনাদের যে কোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট
করে জানাতে পারেন। খুব দ্রুত আমরা আপনাদের প্রশ্ন এবং মতামতের উত্তর প্রদান করা
হবে ইনশাআল্লাহ। এরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট
করুন।।ধন্যবাদ।।