হামাসের সামরিক শক্তি । ইসরায়েলের সামরিক শক্তি । হামাস কি পারবে ইসরাইলকে পরাজিত করতে
প্রিয় পাঠক ফিলিস্তিন ইজরায়েল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে। মূলত গাজার শাসকগোষ্ঠী
হামাস এবং ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর মধ্যে চলছে এই সংঘাতটি। আজকে আমরা জানবো
বিবাদমান দুটি পক্ষের সামরিক শক্তি অর্থাৎ হামাসের সামরিক শক্তি ও ইসরায়েলের
সামরিক শক্তি এবং হামাস কি পারবে ইসরাইলকে পরাজিত করতে?
আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি হামাসের সামরিক শক্তি ও ইসরায়েলের
সামরিক শক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং হামাস কি পারবে ইসরাইলকে পরাজিত করতে??
সে সম্পর্কে একটি ধারণা পাবেন।
হামাসের সামরিক শক্তি । ইসরায়েলের সামরিক শক্তি । হামাস কি পারবে ইসরাইলকে পরাজিত করতে
হামাসের সামরিক শক্তি
হামাসের সামরিক শক্তি জানার পূর্বে একটি বিষয় আপনাদের জানতে হবে যে,
হামাস মূলত কোন সামরিক বাহিনী নয় এটি
ফিলিস্তিনের গাজার
একটি রাজনৈতিক সংগঠন। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা যে শুনে থাকি যে হামাস হামলা করেছে এই
হামলা মূলত পরিচালনা করে থাকে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জদিন
আল কাসসাম ব্রিগেড।
হামাসের সামরিক শক্তি সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না। যতটুকু পাওয়া যায়
তার চাইতে হামাসের সামরিক শক্তি আরো কয়েকগুণ বেশি। আজকে আমরা হামাসের সামরিক
শক্তি সম্পর্কে যতটুকু আলোচনা করব সেটি মূলত হামাস কর্তৃক প্রকাশিত।
আল কাসসাম ব্রিগেডে সৈন্য সংখ্যা ৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ এর মত। তবে এই সৈন্য সংখ্যা
এক লাখ থেকে ২ লাখের মতো হতে পারে কারণ অনেক ফিলিস্তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে
হামাসের সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করেন। এর মূল কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে হামাসের
জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। অস্ত্রশস্ত্র দিক দিয়ে ইসরায়েলের চাইতে তুলনামূলকভাবে
অনেক দুর্বল হামাস।
তবুও তাদের সামরিক কৌশল, সামরিক দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণ ইজরাইলকে নাজেহাল করে
দিয়েছে। হামাসের সামরিক শক্তির মূল ভিত্তি হচ্ছে তাদের মিসাইলগুলো।
হামাসের কাছে স্বল্প পাল্লা এবং মধ্যম পাল্লার অন্তত কয়েক লক্ষ মিসাইল
রয়েছে। এছাড়াও তাদের কাছে শক্তিশালী এন্টি ট্যাংক মিসাইল রয়েছে যার অধিকাংশই
রাশিয়ার তৈরি।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের ৬৬ তম জেলার নাম কি ? - যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে কাতিলা গাম - ১০০+ ইসলামিক শিক্ষামূলক উক্তি
বর্তমানে হামাসের অধিকাংশ অস্ত্র তাদের নিজস্ব অস্ত্রাগারে তৈরি করা হয়।
অধিকাংশ পশ্চিমা বিশ্লেষকদের মতে, হামাসের এই অস্ত্র শিল্পের পিছনে ইরান এবং
লেবাননের হিজবুল্লার অবদান রয়েছে। হামাস অত্যন্ত গোপনীয়তা এবং সতর্কতার সাথে
এসকল মিসাইল এবং অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করে যার কারণে তাদের কাছে কি পরিমান
অস্ত্রশস্ত্র বা গোলাবারদ রয়েছে তা সঠিক তথ্য পাওয়া একেবারেই অসম্ভব।
হামাসের কাছে যেসকল মিসাইল থাকার তথ্য পাওয়া যায়ঃ
- কাসাম রকেট
- কুদস -101
- গ্রান্ড সিস্টেম
- সেজুল মিসাইল
- এম-55
- ফজর ক্ষেপণাস্ত্র
- আর-160
- এম-3025
১০ কিলোমিটার পাল্লার কাসাম রকেট এবং ১৫ কিলোমিটার পাল্লার কুদস ১০১ রকেটের
সবচাইতে বেশি মজুদ রয়েছে এগুলো হামাসের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি। এর
পাশাপাশি রয়েছে ৫৫ কিলোমিটার পাল্লার গ্রান্ড সিস্টেম এবং সেজুলের মত
ক্ষেপণাস্ত্র এগুলো সবই স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। হামাস মর্টার ফায়ারের
মাধ্যমে এ সকল ক্ষেপণাস্ত্র কে আরো শক্তিশালী এবং অধিক বিস্ফোরক বহনে সক্ষম করে
তুলেছে।
মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে হামাসের অস্ত্রাগারে রয়েছে ৭৫ কিলোমিটার
পাল্লার এম-৫৫ , ১০০ কিলোমিটার পাল্লার ফজর ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১২০ কিলোমিটার
পাল্লার আর-১৬০ ক্ষেপণাস্ত্র। তাদের অস্ত্রাগারে কিছু কিছু এম-৩০২
ক্ষেপণাস্ত্র থাকার প্রমাণ মিলেছে যেগুলোর পাল্লা ২০০ কিলোমিটারের মতো। এসকল
অস্ত্রের মাধ্যমে হামাস সহজেই ইসরাইলের যে কোন এলাকাকে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত
করতে পারে।
আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোবাইল নাম্বার - রাজশাহী টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী - ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী
সাম্প্রতিক সময়ে হামাস আত্মঘাতিক ”কামিকাজী” ড্রোনের প্রদর্শনী করেছে যেগুলো
ইসরাইলের মাথা ব্যাথার অন্যতম কারণ। হামাস সর্বশেষ মাত্র ২০ মিনিটে প্রায়
৭০০০ রকেট ছুড়েছে। কিছুদিন পূর্বে হামাস ইসরাইল সংঘাতের সময় ইসরাইলের
শক্তিশালী আকাশ ব্যবস্থা আয়রন ডোমের দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
এবার হামাস এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো মিসাইলকে
প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আয়রন ডোমের নেই। যার ফলে হামাসের অধিকাংশ মিসাইল ইসরাইলে
আঘাত আনতে সক্ষম হয়। হামাসের কোন বিমানবাহিনী এবং কোন নৌবাহিনী নেই।
পাশাপাশি তাদের কাছে শক্তিশালী কোন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা , ট্যাংক, এবং
আধুনিক যুদ্ধযান নেই।
ইসরায়েলের সামরিক শক্তি
বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের। ইসরাইলের কাছে রীতিমতো শিশুর
মতো হামাসের আল কাসসাম ব্রিগেড।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার
এর রেঙ্কে ইসরাইলের অবস্থান ১৮ তম। ইজরায়েলের সামরিক শক্তি অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে
তাদের শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা
মোসাদ। ইসরাইল বিশ্বের অন্যতম পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। ধারণা করা হয় তাদের
কাছে ২৫-৩০ একটি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।
সেনা, নৌ এবং বিমান এই তিনটি শাখায় বিভক্ত ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। সেনাবাহিনী
এবং নৌবাহিনী কিছুটা দুর্বল হলেও ইসরাইলের বিমান বাহিনী পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ
এবং আধুনিক বিমান বাহিনী। ইসরাইলের সৈন্যসংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ এবং রিজার্ভ সেন্য
প্রায় ৫ লক্ষ। প্যারামিলিটারি আছে ১০০০০।
ইজরায়েলের মোট ট্যাংক সংখ্যা ২০০ টি যার অধিকাংশই নিজেদের প্রযুক্তি তৈরি
মার্কাভা ট্যাঙ্ক। ট্যাঙ্ক ছাড়াও অন্যান্য আর্মাড ভেহিকেল রয়েছে প্রায় ১০
হাজারের মতো। আর্টিলারি এবং রকেট প্রজেক্টরস আছে ১০০০ টি।ইসরাইলের বিমানবাহিনীতে
যুদ্ধ বিমান রয়েছে ৩০০ টি। ইজরায়েলের কাছে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ
যুদ্ধবিমান এফ-35 রয়েছে ৩৫ টি। এছাড়াও রয়েছে আমেরিকার তৈরি এফ-55 এবং এফ-16।
ইসরাইলের বহরে হেলিকপ্টার রয়েছে ১০০ টি যার মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে ৩৮
টি। ইসরাইলের নৌবাহিনীতে বড় কোন যুদ্ধজাহাজ নেই। তাদের যুদ্ধজাহাজ বলতে রয়েছে
চারটি কর্ভেট। তবে তাদের নৌবাহিনীতে পাঁচটি শক্তিশালী সাবমেরিন রয়েছে।
আমরা যদি ইসরাইলের আগের যুদ্ধগুলোর দিকে লক্ষ্য করে আমরা দেখব ইসরাইল মূলত বিমান
হামলার মাধ্যমেই আক্রমণ শুরু করে থাকে যার ফল এটি সহজে প্রতিয়মান হয় যে,
ইসরাইলের বিমানবাহিনী সবচাইতে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে তার অন্যান্য বাহিনীর
চাইতে।
তবে ইসরায়েলের সামরিক শক্তির রক্ষাকবচ বলা হয় তাদের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা
ব্যবস্থা আয়রন ডোমকে। আয়রন ডোম এতদিন হামাসের দুর্বল মিসাইল গুলোকে প্রতিরোধ
করতে পারলেও সম্প্রতিক সময়ে হামাসের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে প্রতিরোধ করতে
ভয়াবহভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ মহিলাদের ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম । সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধের উপায় । মোবাইলে দলীল খুজার পদ্ধতি ।
যার ফলে আয়রন ডোম প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে ইজরায়েলের
শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাকে নিয়ে হামাস এত বড় একটি আক্রমণের
পরিকল্পনা করলেও ইসরাইলের গোয়েন্দারা এসব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের
সম্পূর্ণরূপ ব্যর্থ হয়েছে।
হামাস কি পারবে ইসরাইলকে পরাজিত করত
প্রিয় পাঠক আমরা আপনাদের সামনে হামাসের সামরিক শক্তি এবং ইসরাইলের সামরিক শক্তি
নিয়ে এতক্ষন আলোচনা করলাম। এ সকল আলোচনা থেকে আপনারা সহজে বুঝতে পারছেন যে
হামাসের চাইতে ইসরাইল কয়েকগুণ বেশি শক্তিশালী । তারপরেও আমাদের সকলের মনে
একটি প্রশ্ন সেটি হচ্ছে হামাস কি পারবে ইজরায়েলকে পরাজিত করতে?
প্রিয় পাঠক নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করতে গেলে এই যুদ্ধে হামাসের পক্ষে
ইসরাইলকে পরাজিত করা প্রায় অসম্ভব। ইসরাইলের পাশে সব সময় থাকে তার শক্তিশালী
মিত্রগুলো যার মধ্যে অন্যতম আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি যারা সামরিক,
অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে ইসরাইলকে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে থাকে।
অন্যদিকে হামাসের পাশে সেরকম কোন শক্তিশালী মিত্র না থাকলেও
হামাসের প্রধান মিত্র হিসেবে ধরা হয় ইরানকে। ইরানের পাশাপাশি
হামাসের অন্যতম মিত্র হচ্ছে ইসরাইলের অন্যতম শক্তিশালী শত্রু লেবাননের
সামরিক গোষ্ঠী হিজবুল্লা। অনেকের মতে ইসরাইলের জন্য হামাসের চাইতেও বড় আতঙ্কের
নাম হিজবুল্লাহ। অতীতে বিভিন্ন সময়ে হিজবুল্লার সৈন্যদের কাছে ইসরাইলের সৈন্যদের
নাকানি চুবানি খাওয়ার বহু ঘটনা রয়েছে। হিজবুল্লাহ হামাসের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র।
সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্ক, আফগানিস্তান, চীন এবং রাশিয়াকে হামাসের পক্ষে কথা বলতে
দেখা যায়। ইরান,
হিজবুল্লার
পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন দেশেও বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো বিভিন্ন সময় হামাসকে
প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে থাকে। ইতিপূর্বে বহুবার চেষ্টা করেও
ইসরাইল হামাসকে দমন করতে পারেনি। সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি সমগ্র
মুসলিম বিশ্বে হামাসের রয়েছে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা।
তাই যদি হামাস-ইসরাইল পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে
দাঁড়াবে তা এখনই অনুমান করা খুবই জটিল। তবে একথা সহজেই অনুমান করার যায়, হামাস
কিংবা ইসরাইল উভয়পক্ষই সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এখানে একটি
বিষয় উল্লেখযোগ্য, ইসরাইলের পাশে যে সকল মুসলিম দেশ রয়েছে বিশেষ করে লেবানন,
সিরিয়া, মিশর, জর্ডান এ সকল দেশে বহু আগে থেকেই ইরান সমর্থিত অনেকগুলো মিলিশিয়া
গোষ্ঠী তৎপর রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ অর্থসহ ৫০০ + সৌদি মেয়েদের ইসলামিক নাম
। ১১ টি ফ্রি টাকা ইনকাম apps । বেসিক কম্পিউটার ও ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন কোর্স
যাদের মূল উদ্দেশ্য ইসরাইলকে নিশ্চিহ্ন করা পাশাপাশি ইরানের ইসলামিক রেগুলেশনারি
গার্ড বা আই আর জিসি মূলত গঠন করাই হয়েছে আল-আকসাকে ইসরাইলের দখলমুক্ত করার
জন্য। ফলে ইসরাইলের সাথে ফুল স্কেল যুদ্ধে এসকল মিলিশিয়া গ্রুপ একে অপরকে
সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। মিলিশিয়া গ্রুপগুলো ভিন্ন ভিন্ন
হলেও তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য একই। যার ফলে ইসরাইল যে খুব সহজেই এই যুদ্ধে
জয়লাভ করতে পারবে তা চিন্তা করা একেবারেই বোকামি।
হামাসের সামরিক শক্তি । ইসরায়েলের সামরিক শক্তি । হামাস কি পারবে ইসরাইলকে পরাজিত করতে : লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক আমরা আজকে আপনাদের সামনে হামাসের সামরিক শক্তি- ইসরায়েলের সামরিক
শক্তি- হামাস কি পারবে ইসরাইলকে পরাজিত করতে?? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করলাম। আমাদের আলোচনা থেকে আপনার কি মনে হয় হামাস কি পারবে ইসরাইলকে পরাজিত
করতে?
আপনি আপনার উত্তরটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিতে পারেন। এরকম তথ্যবহুল এবং
বিশ্লেষণমূলক আরো পোস্ট পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং
গুগল নিউজে আমাদের পেজটিতে
ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।।