ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা - ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক বর্তমান সময়ের ড্রাগন ফল একটি জনপ্রিয় খাদ্য হিসেবে বিবেচিত। আজকে
আমরা ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।
চলুন তাহলে আজকে আমরা জেনে নেই
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
আজকে এই আলোচনায় আমরা যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানব-
- ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
- ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
- ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
- ড্রাগন ফলের দাম
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
ড্রাগন ফল পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার। চলুন এক নজরে জেনে নেই ড্রাগন ফলের
পুষ্টিগুণ সমূহঃ
- ক্যালোরি
- কার্বোহাইড্রেট
- ডায়েটারি ফাইবার
- প্রোটিন
- ভিটামিন সি
- থায়ামিন
- রিবোফ্লাভিন
- আয়রন
- নিয়াসিন
- ক্যালসিয়াম
- ফসফরাস
- বেটালাইন
- এন্টি অক্সিডেন্ট
- ফ্লেভনয়েড
- পলিফেনল
- পটাশিয়াম
- ম্যাগনেসিয়াম
- পানি
- ফাইবার
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
ড্রাগন ফলের বহুমাত্রিক উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে।
চলুন আমরা প্রথমেই জেনে নেই ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও উপকারিতা জেনে নেইঃ
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় তার শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
- শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- রক্তশূন্যতা দূর করে
- শরীরের রক্তের উৎপাদন বৃদ্ধি করে
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
- শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে
- ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
- চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে
ড্রাগন ফলের অপকারিতাঃ
ড্রাগন ফলের উল্লেখযোগ্য কোনো অপকারিতা নেই। তবে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত কোন
কিছুই ভালো নয়। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খাওয়া যাবেনা। অতিরিক্ত ড্রাগন
ফল খেলে-
- পেটের বিভিন্ন অসুখ হতে পারে,
- হজমজনিত সমস্যা হতে পারে,
- এলার্জি জনিত সমস্যা হতে পারে।
- হঠাৎ করেই অতিরিক্ত ওজন হ্রাস পেতে পারে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফল অন্যান্য সাধারণ ফলের মতোই খাওয়া যায় । তবে খাওয়ার সময় অবশ্যই মনে
রাখতে হবে ড্রাগন ফলটি যেন অবশ্যই পরিপূর্ণভাবে পাকা হয় আধাপাকা, অথবা কাঁচা
ড্রাগন ফল খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ড্রাগন ফল ফ্রিজে রাখার পর খেলে এটি খুবই সুস্বাদু এবং আকর্ষণীয় লাগে। এছাড়াও
সালাত হিসেবে ড্রাগন ফল খাওয়া যেতে পারে। আপনি আপনার সুবিধামতো যেকোনো সময়ে
যেকোনোভাবে ড্রাগন ফল খেতে পারেন তবে কখনোই উপরের শক্ত অংশটুকু খাওয়া যাবেনা।
ড্রাগন ফলের দাম
বাংলাদেশের ড্রাগন ফল খুবই সহজলভ্য হলেও এর দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
বাংলাদেশের প্রতি কেজি ড্রাগন ফল বর্তমানে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি
হচ্ছে।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের সামনে ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা, ড্রাগন ফল
খাওয়ার নিয়ম, ড্রাগন ফলের দাম, ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ইত্যাদি সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করব আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসবে।
এ সংক্রান্ত আপনাদের যেকোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট
করে জানাতে পারেন। এরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি
ভিজিট করুন এবং
গুগল নিউজে আমাদের পেজটিতে
ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।।