এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা- এলার্জি কমানোর উপায়- এলার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ
প্রিয় পাঠক এলার্জির সমস্যা নেই এরকম খুব কম মানুষই রয়েছেন। আজকে আমরা আপনাদের
সামনে এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা- এলার্জি কমানোর উপায় এবং এলার্জির সবচেয়ে ভালো
ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করব। আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা-
এলার্জি কমানোর উপায়- এলার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পারবেন।
বর্তমান সময়ে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে একেবারে বৃদ্ধ পর্যন্ত আমরা প্রায় সকলেই
এলার্জির সমস্যায় জর্জরিত। কারো সহনীয় পর্যায়ে আবার কারো একেবারে অসহনীয়
পর্যায়ে। আজকের আলোচনায় আপনি যে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন:
- এলার্জি কত ধরনের
- এলার্জি জাতীয় খাবার
- এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা
- এলার্জি কমানোর উপায়
- এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়
- এলার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ সম্পর্কে।
এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা- এলার্জি কমানোর উপায়- এলার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ
এলার্জি কত ধরনের
এলার্জি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন-
খাদ্যে এলার্জি: খাদ্যে এলার্জি বলতে বুঝায় যে সকল খাদ্য খাওয়ার ফলে
মানুষের এলার্জি সংক্রান্ত সমস্যা বৃদ্ধি পায়। যেমন- গরুর মাংস, দুধ, ডিম
ইত্যাদি।
ডাস্ট এলার্জি: ডাস্ট এলার্জি বলতে বুঝায় ময়লা-ধুলোবালি থেকে যে
এলার্জিগুলো হয়। আমরা সাধারণত পুরনো আসবাবপত্র, বাড়িঘর ইত্যাদি পরিষ্কার করার
সময় এই সমস্যার সম্মুখীন হয়
প্রাণী বা পশুপাখিতে এলার্জি: মৌমাছি মশার কামড় পোষা প্রাণীর লোম ইত্যাদি
থেকেও এলার্জি সংক্রমিত হয়।
ঔষধে এলার্জি: কিছু কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
হিসেবে অনেক সময় এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়।
এলার্জি জাতীয় খাবার
প্রিয় পাঠক এলার্জি জাতীয় খাবার এর তালিকা অনেক লম্বা। তবুও সুস্থ থাকার জন্য
আপনাকে জানতে হবে এলার্জি জাতীয় খাবারের তালিকা। চলুন তাহলে জেনে নেই
- দুধ
- ডিম
- গম
- সয়াবিন
- গরুর মাংস
- হাঁসের মাংস
- চিংড়ি
- বেগুন
- মসুরের ডাল
- পুঁইশাক
- গাজর
- টমেটো
- কলা
- পেস্তা
- কাকড়া
- চিনা বাদাম
- সেলমন ফিস
- কাজুবাদাম
- আইসক্রিম
- নারকেল
- স্ট্রবেরি
- কোয়েল পাখি
- মাগুর মাছ
- মাখন
- মিষ্টি আলু
- জলপাই
- কমলা
- পেঁপে
- আম
- মুলা
এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা
এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে চলুন আমরা জেনে নেই
এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসার জন্য কি কি ব্যবহার করা যায়:
নিমপাতা
নিম পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন চিকিৎসার ব্যবহার হয়ে আসছে । এলার্জির সমস্যা
থাকলে নিম পাতা হালকা সেদ্ধ করে সে পানির সাথে পানি মিশিয়ে সাত থেকে দশ দিন গোসল
করলে দেখবেন আপনার এলার্জি সমস্যা দূর হয়ে গেছে।
অ্যালোভেরা
আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত এলোভেরা ব্যবহার করলে খুব সহজেই অ্যালার্জি থেকে মুক্তি
পাওয়া যায়। যাদের মাথায় এলার্জি হয় তারা অ্যালোভেরা শ্যাম্পুর মত ব্যবহার
করতে পারেন এতে আপনার এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা হয়ে যাবে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন সি জাতীয় খাবার এলার্জি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেমন লেবু
কাঁচা মরিচ ইত্যাদি নিয়মিত খেলে এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
গোলাপ জল
মুখের এলার্জি প্রতিরোধে গোলাপজল ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই সমাধান পাওয়া
যায়।
এলার্জি কমানোর উপায়
এলার্জি কমানোর জন্য আমরা যে ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি
সেগুলো মেনে চলতে হবে। এলার্জি জাতীয় খাবারের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে সে সকল
খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে পাশাপাশি:
- সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
- নিয়মিত গোসল করতে হবে।
- বাড়ি-ঘর ইত্যাদিতে যেন ধুলোবালি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
- বিছানা বালিশ কম্বল চাদর ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে এবং রোদে খুব ভালোভাবে শুকাতে হবে।
- খুব টাইট পোশাক না পড়ে ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে।
- যে সকল পশু পাখির সংস্পর্শে গেলে এলার্জি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সে সকল প্রাণী থেকে দূরে থাকতে হবে।
- এন্টিবায়োটিক ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে অনেক সময় অ্যালার্জি হয়, তাই এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করতে হবে।
এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়
এলার্জির সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুলকানি মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়ে যায় এ
সমস্যা দূর করার জন্য প্রাথমিকভাবে মনে রাখতে হবে ঠান্ডা আবহাওয়ায় এলার্জি
চুলকানি কমে যায় সেজন্য চুলকানি বেড়ে গেলে হালকা ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে পারেন
পাশাপাশি আক্রান্ত স্থানে বরফ ব্যবহার করতে পারেন। এতেও যদি সমস্যার সমাধান না
হয় এবং চুলকানি যদি বেড়ে যায় তাহলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ
গ্রহণ করুন।
এলার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ
এলার্জির জন্য প্রধানত তিন ধরনের এন্টিহিস্টামিন ব্যবহার করা হয় এগুলো হল :
এই তিন ধরনের ওষুধ বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে বাজারজাতকরণ করে থাকে। যেমন:
Cetirizin :
- Atrizin- Beximco Pharma
- Alatrol- Square Pharma
- Rhinil- Aristopharma
- Ontin-SKF
- Nosemin- Ibna Sina
Fexofenadine:
- Axodin- Beximco Pharma
- Dinafex-SKF
- Fexo-Square Pharma
- Fenadin-Reneta
Loratadine:
- Caldin- Ad-Din Pharma
- Loratin- Ibna Sina
- Oradin- SKF
- Lora - Opsonin Pharm
- Alaron- ACI Pharma
প্রিয় পাঠক আমরা যে সকল ওষুধের নাম আপনাদেরকে বললাম এগুলোই মূলত এলার্জির
সবচেয়ে ভালো ঔষধ। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে কোন ঔষধ খাওয়ার পূর্বেই
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তা না হলে ছোট ছোট সমস্যা থেকে বড় কোন সমস্যা
তৈরি হতে পারে। তাই অবশ্যই যে কোন ওষুধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ
করুন এবং সুস্থ থাকুন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের সামনে এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা- এলার্জি কমানোর
উপায়- এলার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা
করব আমাদের দেওয়া পরামর্শ গুলোর মাধ্যমে আপনি সহজেই অ্যালার্জি থেকে মুক্তি
পাবেন এবং সুস্থ থাকবেন ।
এ সংক্রান্ত আপনাদের যেকোনো প্রশ্ন বা মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে
জানাতে পারেন। এরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট
করুন এবং
গুগল নিউজে আমাদের পেজটিতে
ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।।
Notun kisu oushod er nam jante parlam . thanks