জিম করার উপকারিতা এবং জিম করার বয়স

       

শরীর সুস্থ রাখার এবং ফিট রাখার অন্যতম মাধ্যম জিম বা ব্যায়াম করা। আমাদের সকলেরই জিম করার উপকারিতা এবং জিম করার বয়স সম্পর্কে  জানা প্রয়োজন।  আসুন আজকে আমরা জিম করার উপকারিতা এবং জিম করার বয়স জেনে নিই ।

জিম করার উপকারিতা এবং জিম করার বয়স

জিম করার উপকারিতা

  1.  শরীর ও মনকে সতেজ রাখে।
  2. আত্ম-বিশ্বাস বৃদ্ধি করে।
  3. হৃদরোগের ঝুকি কমায়।
  4. ডাইবেটিসের ঝুকি হ্রাস করে।
  5.  উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  6. হজমের উন্নতি করে।
  7. মস্তিষ্ক এবং স্মৃতি শক্তির উন্নতি সাধন করে।
  8. ফুসফুসকে শক্তিশালী করে।
  9.  ঘুম বৃদ্বি করে।
  10. ওজন কমাতে বা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

জিম করার বয়স

জিম এর কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই।  এটি মূলত একটি অভ্যাস । যে কোন বয়সেই এই অভ্যাস তৈরী করা যায়। ১৭-১৮ বছর বয়সের  দিকেই এই অভ্যাস আয়ত্ত্বে আনা যায়।  সকল বয়সের মানুষেরই জীমে যাওয়ার অভ্যাস থাকা উচিত। তবে একেবারেই  অল্প বয়সে কিংবা অতিরিক্ত বৃদ্ধ বয়সে জিমে না যাওয়াই ভালো  তার চেয়ে  বাড়িতেই হালকা শারীর চর্চা করা উত্তম।

জিম করার নিয়ম

পৃথিবীর সবকিছুরই নিয়ম আছে। ঠিক তেমন শরীর চর্চার ও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। নিয়মের বাইরে গিয়ে কোন কিছু করা উচিত নয়। জিমের নিয়ম-কানুন জানতে নিচের লিংকে কিল্ক করুন: জীমে নতুন হলে কী করবেন কী খাবেন এবং কী করবেন না

জিম করার অপকারিতা

১.অতিরিক্ত  কোন কিছুই ভালো নয়, অনেকেই নতুন নতুন জিমে গিয়ে অতিরিক্ত ব্যায়াম করে থাকেন যাতে হঠাৎ করেই এত চাপ  হওয়ার ফলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
২.সঠিকভাবে খাবার গ্রহণ না করলে শরীর দুর্বল হওয়া এবং ক্লান্তিভাব কাজ করে।
৩. মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়েমর ফলে পেশীতে চাপ পড়ে অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ব্যাথা সহ নানা রকম শারীরীক জটিলতা হতে পারে। 
৪.সপ্তাহে ৪-৫ দিন জিম করা উচিত বাকি দুইদিন বিশ্রাম এবং পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। 
৫. ৬-৮ ঘন্টার নিচে ঘুম হলে জিমে  না যাওয়াই ভালো।
৬.  প্রতিদিন  একই ব্যায়াম না করে রুটিন মাফিক ভিন্ন ভিন্ন ব্যায়াম করা দরকার।
৭. ইলেকট্রিক মাসল স্টিমিউলেটর ব্যবহার করলে মাসল এ আঘাত পাবার সম্ভাবনা থাকে।
৮. অন্যের প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করবেন না। এটি স্বল্প মেয়াদী আকর্ষণীয় ফলাফল দিলেও পরবতীর্তে ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হবে।

লেখক এর মন্তব্য

জিম বা শরীর চর্চা একটি সাধনার বিষয় । আপনি যদি নিয়ম মেনে নিয়মিত শরীর চর্চা বা জিম করতে পারেন তাহলে তা আপনার জন্য উপকারী, আর যদি অনিয়মিত বা মাঝেমধ্যে বা নিয়ম না মেনে  শরীর চর্চা করেন তাহলে সেটি আপনার জন্য ক্ষতিকর।

আশা করব আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি জিম করার উপকারিতা, জিম করার বয়স এবং জিমের ক্ষতিকর দিকগুলো জানতে পেরেছেন এরকম আরো প্রয়োজনীয় পোস্ট পড়ার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

ইসলামিক ইনফো বাংলা

আমাদের ফেসবুক পেইজ