উকিল হওয়ার জন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে - ব্যারিস্টার হওয়ার যোগ্যতা
উকিল অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার হওয়া অনেকেরই স্বপ্নের পেশা। অনেকেই আমাদের কাছে
জানতে চেয়েছেন উকিল হওয়ার জন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে এবং ব্যারিস্টার
হওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে । তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি উকিল হওয়ার
জন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে এবং ব্যারিস্টার হওয়ার যোগ্যতা কি সে সম্পর্কে
বিস্তারিত নিয়ে।
আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে উকিল হওয়ার জন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে
এবং ব্যারিস্টার হওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।এডভোকেসি এমন
একটি পেশা যেখানে আপনি যেমন স্বাধীন থাকতে পারবেন ঠিক তেমনি আপনাকে চলমান বিষয়ে
সর্বাধিক বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে।
উকিল হওয়ার জন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে - ব্যারিস্টার হওয়ার যোগ্যতা
উকিল হওয়ার জন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে : উকিল অ্যাডভোকেট হওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা
- আইনজীবী হতে হলে প্রথমেই আপনাকে আইন বিষয়ে ডিগ্রী অর্জন করতে হবে।
- বাংলাদেশের স্বীকৃত যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ বছর অনার্স ইন এল.এল. বি অথবা
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছর মেয়াদী এল.এল.বি (পাশ) কোর্স শেষ করতে হবে।
- এর পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। ১০০ মার্কের এম.সি.কিউ, ১০০ মার্কের লিখিত এবং ৫০ মার্কের মৌখিক পরিক্ষায় আলাদা আলাদাভাবে পাশ করার পর একজন ব্যাক্তি একজন এডভোকেট বা আইজীবী হিসেবে বার কাউন্সিল এ এনরোলমেন্ট হন।
বিঃদ্রঃ এল. এল. বি (পাশ) কোর্সে ভর্তি হবার জন্য প্রার্থীকে যে কোন বিষয়ে ৪
বছর মেয়াদী অনার্স বা ৩ বছর মেয়াদী ডিগ্রী পাশ এর সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
বাংলাদেশের ৬৬ তম জেলার নাম কি ?
-
যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে কাতিলা গাম
- ১০০+ ইসলামিক শিক্ষামূলক উক্তি
উকিল হওয়ার জন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে : আইন নিয়ে পড়তে হলে কি করতে হবে
- আইন নিয়ে পড়তে হলে অবশ্যই আপনাকে উচ্চ মাধ্যমিক অথবা অনার্স বা ডিগ্রী পাশ হতে হবে। যেকোন বিভাগ বা বিষয়ের শিক্ষার্থীই আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।
- এইচ এস সি পাশের পর দেশের প্রায় সকল পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায়, এই বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ভর্তি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণত বাংলা, ইংরেজী,সাধারণ জ্ঞান ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন হয়।আইন বিভাগে পড়তে হলে অবশ্যই ইংরেজীতে ভাল দক্ষতা থাকতে হবে।
- অনার্স বা ডিগ্রী পাশ এর পরও আইনে ভর্তি হওয়া যায়। এক্ষেত্রে এটিকে পাশ কোর্স বলা হয় যার মেয়াদ ২ বছর। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের বিভিন্ন আইন কলেজ থেকে এই কোর্স করা যায়। প্রতিবছর সাধারণত আগষ্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এল.এল.বি (পাশ) কোর্স এর সার্কুলার প্রকাশিত হয়।
উকিল হওয়ার জন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে : উকিল হতে কত টাকা লাগে
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আইন বিভাগে অধ্যায়নের খরচ একেক রকম।
- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহগুলোতে ৪ বছরে সাধারণত ৪০-৯০ হাজার টাকা খরচ হয়।
- প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ কোর্সে ২ বছরে ৪০-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়।
উকিল হওয়ার জন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে : বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স
বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স ২১ বছর। এর উপর যে কোন বয়সেই আপনি বার
কাউন্সিল এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে ৪০ বছর এর বেশি হলে বিভিন্ন বারে
কিছু সুযোগ সুবিধা কম পাওয়া যায়। তবে সকল বারেই যে এমন তা নয়।
আরো পড়ুনঃ
উকিল হওয়ার জন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে : সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা
সুপ্রিম কোর্ট এর আইনজীবী হওয়া সকল এডভোকেট এরই স্বপ্ন , আপনি যদি সুপ্রিম
কোর্টের আইনজীবী হতে চান তাহলে আপনার নিম্নোক্ত যোগ্যতাসমূহ প্রয়োজনঃ
- ৪ বছর মেয়াদী আইনে স্নাতক বা ২ বছর মেয়াদী পাশ কোর্স এর ডিগ্রী।
- বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর তালিকাভুক্ত এডভোকেট হতে হবে।
- বাংলাদেশের কোন নিম্ন আদালতে সর্বনিম্ন ২ বছর প্র্যাকটিস করার অভিজ্ঞতা অথবা এল.এল.এম ডিগ্রী সহ সুপ্রিম কোর্টের এক জন সিনিয়র আইনজীবীর অধীনে ২ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- দেওয়ানী মামলা সর্বনিম্ন ২৫ টি এবং ফৌজদারী মামলা সর্বনিম্ন ২৫ টি মামলায় কাজ করার অভিজ্ঞতা।
- Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Rules, 1972 (65(2)) এর অধীনে লিখিত এবং মৌখিক পরিক্ষায় সর্বনিম্ন ৫০% মার্কস পেয়ে উর্ত্তীণ হতে হবে।
আরো পড়ুন:
মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
-
হ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
-
ধৈর্যশীল হতে করণীয় সমূহ কি?
উকিল হওয়ার জন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে : উকিল ও ব্যারিস্টার এর মধ্যে পার্থক্য কি
উকিল এবং ব্যরিস্টার দুইজনই মূলত আইনজীবী কিন্ত উভয়ের মাঝে কিছুটা মৌলিক পার্থক্য
রয়েছে-
- উকিল বা এডভোকেট মানে প্রতিনিধি অন্যদিকে ব্যরিস্টার মানে পরামর্শদাতা।
- বাংলাদেশে পড়াশোনা করে এডভোকেট হওয়া যায় কিন্ত ব্যরিস্টার হতে হলে আপনাকে ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃত কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করতে হবে।
- উকিল এবং ব্যরিস্টার দুইজনর ই কাজ কোর্টে মামলা পরিচালনা করা, বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ড দুই দেশ হওয়াই পার্থক্য শুধুই আক্ষরিক অর্থে।
- বাংলাদেশে কোর্টে কাজ করার জন্য উকিল এবং ব্যরিস্টার দুইজনকেই বার কাউন্সিল এর এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হতে হবে।
- ব্যরিস্টার হলেই যে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায় তা নয় একটি মামলা পরিচালনা করার জন্য অ্যাডভোকেট বা ব্যারিস্টারি ডিগ্রির চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনার যোগ্যতা, পরিশ্রম, পড়াশোনা করার মন-মানসিকতা, উপস্থিত বুদ্ধি ইত্যাদি।
- ব্যারিস্টাররা কিছু ক্ষেত্রে বাড়তে সুবিধা পেয়ে থাকেন। যেমন: এডভোকেট দের চাইতে সাধারণত ব্যরিস্টারদের ফি বেশি হয়, বিভিন্ন কোম্পানি এবং ফার্মে এডভাইজার হিসেবে অ্যাডভোকেটদের চাইতে ব্যারিস্টারদের চাহিদা বেশি।
আরো পড়ুনঃ
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২০২৫ অফিসার ক্যাডেট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
-
কিডনি ভালো রাখার উপায় -
জিম করার উপকারিতা এবং জিম করার বয়স
উকিল হওয়ার জন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে : ব্যারিস্টার হওয়ার যোগ্যতা
- ব্যারিস্টার হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে নয় মাস মেয়াদে বার প্রফেশনাল ট্রেনিং কোর্স বা বিপিটিসি করতে হয়।
- বিপিটিসি করতে হলে চার বছর মেয়াদ মেয়াদী এলএলবি অনার্স কোর্সে উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে বাংলাদেশে এলএলবি বা এলএলএম পাস করে সরসরি বিপিটিসি তে ভর্তি হওয়া যায় না। এ জন্য অবশ্যই ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে এলএলবি বা এলএলএম পাস করতে হবে।
- যে কোনো বয়সেই বিপিটিসি করা যায়।
- স্কুল অফ ল, বিপিপি ল স্কুল, নটিংহ্যাম, নর্দামব্রিয়া, ব্রিস্টল, কার্ডিফ, ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন,ইনস অফ কোর্ট ,কলেজ অফ ল এই নয়টি প্রতিষ্ঠানে বার অ্যাট ল করা যায়। সাধারণত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বার অ্যাট ল কোর্সে ভর্তি করা হয়।
- বাংলাদেশের কলেজ অফ লিগ্যাল স্টাডিজ, ভূইয়া একাডেমি, নিউ ক্যাসেল ল একাডেমি থেকেও বার এট ল কোর্স করা যায়। বার এট ল কোর্স অত্যন্ত ব্যায়বহুল বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৫-২০ লক্ষ এবং ইংল্যান্ডে করলে ৩০-৪৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
- কোর্স শেষ হবার পর ব্রিটিশ কাউন্সিল করতে নির্ধারিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে ব্যারিস্টার হওয়া যায়।
উকিল হওয়ার জন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে : লেখক এর মতামত
আপনি যদি একজন উকিল অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার হতে চান তাহলে আপনাকে আজ থেকে
প্রস্তুতি নিতে হবে। উপরের পোস্টে উকিল হওয়ার জন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে,
কি কি করতে হবে তার খুঁটিনাটি, ব্যারিস্টার হওয়ার যোগ্যতা , ব্যারিস্টারের এবং
এডভোকেটের পার্থক্য, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং আইনজীবী হতে কত
টাকার প্রয়োজন তার খুঁটিনাটি সব বিষয়ে আলোচনা করেছি।
এ সংক্রান্ত আপনাদের যেকোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট
করে জানাতে পারেন। এরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি
ভিজিট করুন এবং
গুগল নিউজে আমাদের পেজটিতে
ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।।
ব্যারিস্টার নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য প্রথমে বিজ্ঞান, নাকি মানবিক থেকে পড়াশোনা করতে করতে হবে?
বিজ্ঞান বা মানবিক যে কোন বিষয়েই পড়তে পারেন কোন সমস্যা নাই। তবে ইংরেজিতে অবশ্যই ভাল হতে হবে।
ব্যরিস্টার অথবা আইনজীবী কোন টা নিয়ে পড়ালেখা করা বেশি সহজ এবং এটা নিয়ে প্রথম থেকে কিভাবে পড়ালেখা শুরু করতে হবে?
আইনজীবী বা অ্যাডভোকেট হওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ । আপনি বাংলাদেশেই সহজেই এডভোকেট হতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে আমাদের পোস্টটি ভাল করে মনোযোগ সহকারে পড়ুন তারপরেও যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করুন।। ধন্যবাদ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দুই বছর মেয়াদী এলএলবি পাস কোর্স ডিগ্রি কমপ্লিট করলে কি বার এট ল করা সম্ভব?